দিয়াগো মারাদোনা- বৈচিত্রময় এক মহাকাব্যের নাম।

ছবিঃঃঃ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে মারাদোনা

দিয়াগো আর্মান্দো মারাদোনাকে নিয়ে যদি একটু বিশদভাবে জানার চেষ্টা করেন তখন বিস্ময়কর অনেক কিছুই আপনার মস্তিষ্কের তথ্যভান্ডারে যোগ হয়ে যাবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।উথান-পতনের সেতুবন্ধনে মিলিত ছিল যার সমগ্র জীবন, কখনো সাফল্য শিখরে আবার ব্যর্থতায় হারিয়ে গিয়ে ফিরে আসাটা ছিল যার অভ্যেস- তিনিই মারাদোনা।প্রশংসার সাগরে ভেসেছেন হঠাৎ হারিয়েছেন তলানিতে, আলোচিত হয়েছেন আবার সমালোচিতও,নন্দিত অন্যদিকে আবার নিন্দিত,বর্নিলময় কিংবা ধূসর,আনন্দ-অশ্রুতে মিশ্রিত - এমনই বৈচিত্রময় এক মহাকাব্যের নাম "ডিয়াগো আর্মান্দো মারাদোনা"।কিংবদন্তিদের থেকেও যিনি সর্বদা রয়েছেন এগিয়ে,ফুটবলই ছিল যার মূল জীবন দর্শন,উথান-পতনের সর্বক্ষেত্রে যার সারথি ছিল একমাত্র ফুটবল -তিনিই মারাদোনা। ১৯৬০ সালের ৩০ শে অক্টোবরে জন্মেছিলেন আবার ১৯৮৬ এর কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের সাথে ৬০ মিনিটে করেছিলেন শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ গোল।  এই ৬০ সংখ্যাটিতেই বাঁধা পড়ে নিজের ৬০ তম জন্মদিনের  কিছুদিন পার না হতেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন এই ফুটবল মহানায়ক।দিয়াগো মারাদোনার ব্যাতিক্রম কিছু তথ্য নিয়ে আজকের এই পর্বঃ

ছবিঃMaradonian Church.  

প্রথমে ইগলেসিয়া মারাদোনিয়ানা( Iglesia Maradoniana) থেকেই শুরু করা যাক।এই নামটি অনেকেই শুনেছেন আবার অনেকে প্রথমবার শুনছেন সম্ভবত।এটির ইংরেজি বাক্য হলঃ The Church of Maradona বা Maradonian Church. Church শব্দটি শুনে ধর্মীয় উপসনালয় ভাবতে পারেন তবে Iglesia Maradoniana হচ্ছে ডিয়াগো ম্যারাডোনার ভক্তদের প্রতিষ্ঠিত উপসনালয়, যেটির ধর্ম হচ্ছে ফুটবল ও সেই ধর্মের ঈশ্বর  হলেন ডিয়োগা মারাদোনা।এটির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে আর্জেন্টিনার রুজারিওতে।৩০ শে অক্টোবর অর্থাৎ মারাদোনার জন্মদিনে সেখানে তাঁর ভক্তরা প্রতিবছর পালন করেন তাদের ফুটবল ঈশ্বরের জন্মদিন ঠিক যেমনটি ২৫ শে ডিসেম্বরে যীশু খ্রিস্টের জন্মদিনটি যেভাবে পালন করেন।এই চার্চের অনুসারী প্রায় ২ লক্ষ যারা প্রত্যক্ষ ভাবে এটির সাথে যুক্ত।মূলত তারা বিশ্বাস করেন ম্যারাডোনা হলেন সর্বকালের সর্বসেরা ফুটবলার এবং তিনি ফুটবলকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়।এই জন্য তাকে এই ফুটবল ঈশ্বরের উপাধি দেওয়া হয়।এই চার্চের প্রতিষ্ঠাকারী সদস্য ও অন্যান্য ভক্তরা এটিকে অনেক পবিত্র বলে মনে করেন।

ছবিঃ Iglesia Maradoniana তে একজন ভক্ত   

ডিয়োগা আর্মান্দো মারাদোনা ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবরে রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।চার বোনের পর জন্ম হয় তাঁর।তিন বছর বয়সে মারাদোনা উপহার হিসেবে প্রথম ফুটবল পেয়েছিলেন এবং তারপর এলাকার সরুগলিতে বল নিয়ে খেলতে খেলতে শুরু হয়ে যায় ফুটবলপ্রেম।মাত্র আট বছর বয়সে মারাডোনাকে একজন প্রতিভাবান স্কাউট তার প্রতিবেশী ক্লাব এস্ত্রেয়া রোহাতে খেলতে দেখে। অতঃপর তিনি উক্ত স্কাউটের বদৌলতে বুয়েনোস আইরেস ভিত্তিক ফুটবল ক্লাব আর্জেন্তিনোস জুনিয়র্সের জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের দল "লস সেবায়িতাস-এ "যোগদান করেন। একজন ১২ বছর বয়সী বল বয় হিসেবে তিনি প্রথম বিভাগের খেলার প্রথমার্ধের বিরতির সময় বল নিয়ে তার জাদুকরী কুশল প্রদর্শন করে দর্শকদের ব্যাপক উল্লসিত করে ফেলতেন।এরপর ক্রমশ এগিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রদর্শন করে পেয়ে যান ১৬ বছরেই ৭৮ বিশ্বকাপের ডাক।কিন্তু বয়সের জন্য নাম লিখাতে ব্যর্থ হন সেই বিশ্বকাপে।১৬ বছর বয়সে জাতীয় দলে জায়গা পেয়েও এই বয়সের কারনে খেলতে পারেন নি ৭৮ সালের বিশ্বকাপ।১৯৭৮ সালেই প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা কিন্তু খেলতে না পারার এই আক্ষেপটি গেঁথে গিয়েছিল ভালভাবেই তাঁর মনে।মারাদোনার জাতীয় দলে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল অথবা নাপোলিকে প্রথম ও শেষবার ক্লাব শিরোপা জিতানো বা ইউএফা কাপ জিতানো কিংবা বার্সালোনার বর্নিল ক্যারিয়ার-সম্ভবত কোনকিছুই তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মত যথেষ্ট নয়।তাহলে কেন তিনি সেরাদের সেরা বা শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ফুটবলার?


১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপটি ছিল অন্যান্য সকল বিশ্বকাপ থেকে সর্ম্পূণ আলাদা।একদমই সাদামাটা দল নিয়ে যাত্রা শুরু আর্জেন্টিনার।অনেকটা ঝামেলা করে কোচ অধিনায়কের দায়িত্ব এনে দেন মারাদোনার নিকটে এবং ঘোষণা দেন আমার কাছে ১০ জন ফুটবলার ও একজন মারাদোনা আছে।হ্যাঁ, এই একজন মারাদোনাই করে ফেলেছিলেন অসাধ্য সাধন।একদম সাধারণ একটি দলকে নিয়ে মাত্র একজন মারাদোনা একাই পুরো বিশ্বকে নাস্তানাবুদ করে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। এমন বিরল ঘটনা কিন্তু অন্য কোন বিশ্বকাপে নেই।কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সকলের চোখে ধাধা সৃষ্টি করে প্রথম গোলটি করে পরর্বতীতে খেতাব পাত "হ্যান্ড অব গডের"।এর ঠিক মাত্র ৪ মিনিট পর ৫ জন ডিফেন্ডার ও গোলকিপারকে কাটিয়ে ২য় গোলটি করেন।যে গোলটিই পরর্বতীতে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ গোল হিসেবে ফিফার দ্বারা নির্বাচিত হয়।১৯৯০ সালে টানা ২য়বার সবাইকে স্তম্ভিত করে অধিক নৈপুন্য প্রদর্শন করে ফাইনালে নিয়েও অতিরিক্ত সময়ে রেফারির ঘোষিত বির্তকিত পেনাল্টির কারনে হেরে টানা শিরোপার আক্ষেপটা রয়ে গিয়েছিল তার অন্তরে।


১৯৯৪ বিশ্বকাপে মারাদোনা শুধুমাত্র দুইটি খেলায় মাঠে নামেন। এর মধ্যে গ্রীসের বিপক্ষে তিনি একটি গোল করেন।এরপরই ড্রাগ টেস্টে এফিড্রিন ডোপিং-এর কারণে তাকে বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কার করা হয়। নিজের আত্মজীবনীতে মারাদোনা ঐ টেস্ট সম্পর্কে বলেন যে, তার ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক তাকে এনার্জি ড্রিংক রিপ ফুয়েল দেওয়ার কারণে তিনি ড্রাগ টেস্টে ধরা পড়েছেন।

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ফাঊলের শিকার হওয়া ফুটবলার হলেন মারাদোনা।ইতালির বিপক্ষে এক ম্যাচেই রের্কড ২৩ ও বিশ্বকাপে মোট ৫৩ বার অবৈধভাবে প্রতিপক্ষের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি।২০০০ সালে, ফিফা মারাদোনাকে শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত করে।যেখানে মারাদোনা পান ৫৩.৬% ভোট, অন্যদিকে পেলে পেয়েছিলেন মাত্র ১৮.৫৩% ভোট।২০০২ সালে সমর্থকদের ভোটে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মারাদোনার করা দ্বিতীয় গোলটি ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা গোল নির্বাচিত হয়। এছাড়া তিনি বিশ্বকাপের সর্বকালের সেরা দলেও জায়গা পান। ২০১০ সালের ২২ মার্চ, লন্ডনভিত্তিক সংবাদপত্র দ্য টাইমস তাকে বিশ্বকাপের সেরা দশ জন খেলোয়াড়ের তালিকায় প্রথম স্থান প্রদান করে।বিশ্বকাপে ক্যাপ্টেন হিসেবে তিনি একটানা ২১ ম্যাচ খেলার রের্কড করেন ও বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৮ টি এস্যিস্ট করে রেকর্ড করেন।বোকা জুনিয়র্সে মাত্র ১ মৌসুমে একটি লীগ শিরোপা জয়লাভ করার পর, প্রায় ৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে (যা উক্ত সময়ের বিশ্ব রেকর্ড ছিল) স্পেনীয় ক্লাব বার্সেলোনায় যোগদান করেন; যেখানে সেসার লুইস মেনোতির অধীনে তিনি তিনটি শিরোপা জয়লাভ করেছেন। বার্সেলোনার হয়ে ২ মৌসুমে সকল প্রতিযোগিতায় ৪৫ ম্যাচে ৩০টি গোল করার পর, প্রায় ৭ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইতালীয় ক্লাব নাপোলিতে যোগদান করেন; এই স্থানান্তরের মাধ্যমে মারাদোনা পুনরায় বিশ্ব রেকর্ড করেন। মারাদোনা ফুটবল ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দুইবার স্থানান্তরের বিশ্বরেকর্ড ভঙ্গ করেছেন।এছাড়াও বিশ্বকাপেও ছোট বড় আরও অনেক ও একই সাথে ক্লাব ক্যারিয়ারেও অজস্র রের্কডের মালিক তিনি।অধিকাংশ ফুটবল খেলোয়াড় এবং বিশেষজ্ঞ তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে গণ্য করেন।মারাদোনাকে ক্রীড়া জগতের সবচেয়ে বিতর্কিত এবং গণমাধ্যমে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।


মারাদোনাকে খুঁজে পাওয়া কোচ ফ্রান্সিস্কো কোরনেয়ো মারাদোনার  স্মৃতিচারণ করে বলেছিলেনঃ

দিয়েগো যখন আর্জেন্তিনোস জুনিয়র্সের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এসেছিল, তখন আমি সত্যিই তার প্রতিভা দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম এবং বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে তার বয়স মাত্র আট বছর। আসলে, আমরা তার পরিচয়পত্র চেয়েছিলাম যেন আমরা তার বয়স মেলাতে পারি, কিন্তু সে আমাদের বলেছে যে তার কাছে এটা নেই। আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে সে আমাদের নিয়ে মজা করছে, কারণ যদিও তার শরীর শিশুদের মতো ছিল, তবে সে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো খেলেছে। যখন আমরা জানতে পারলাম যে সে আমাদের সত্য বলছে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমরা তার প্রতি পুরোপুরি মনোনিবেশ করব।"


দিয়োগো মারাদোনার নাম শুনেন নি এমন মানুষকে খুঁজে পাওয়াটা অসম্ভব।তিনি শুধুমাত্র একজন কিংবদন্তি খেলোয়াড়ই নন ছিলেন না একই সাথে তিনি শিখিয়ে দিয়েছিলেন ফুটবলকে পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত ।মারাদোনা ছিলেন একটি অনুভূতি, আবেগ,ভালবাসা বা মাঁয়া জালে বন্দি করে ফেলা একটি নাম।শত শত মাইল দূরের হয়েও তিনি তার জাদুকরী ক্ষমতা দিয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন আমাদের হ্রদস্পন্দনে।সম্ভবত শুধুমাত্র তিনি নন তার দেশকেও।আর্জেন্টিনা যখন ১৯৮৬ সালে ২য় বার বিশ্বকাপ জয় করেছিল তার পূর্বে কিন্তু এত দর্শক জনপ্রিয়তা ছিল না।৮৬ তে ম্যারাডোনা শুধুমাত্র একটি দেশকে কাপই এনে দেন নি বরং তাঁর দেশকেও জায়গা করে দিয়েছিলেন কোটি কোটি মানুষের মনে।মারাডোনার হাত ধরেই কিন্তু শেষ বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। এরপর এই দেশটির তেমন কোন বড় সাফল্যও নেই।তারপরও দর্শক জনপ্রিয়তা এক ফোঁটাও কমে নি বরং বেড়েছে অনেকগুণ।প্রতিবার আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও ভক্তরা কখনোই এই দেশকে ভুলে যান নি।মারাদোনার পরর্বতী সময়ে বার বার ব্যর্থতার সম্মুখীন হওয়া দেশটিকে ভালবাসার জায়গায় শক্তভাবে স্থাপন করে দেওয়ার মূল স্থপতি ছিলেন এই মারাদোনা।আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন অবসর পরর্বতী সময়েও বার বার কিন্তু ভক্তকূলের মন থেকে তিনি হারিয়ে যান নি একফোঁটাও তা নির্দ্ধিধায় বলা যায়।


হাজার মাইল দূরের দেশের হয়েও বাংলাদেশ বা ভারতের মত দেশের শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে  মারাদোনা ও আর্জেন্টিনার  সমর্থক দেখেই ব্যাপারটা অনুধাবন করা যায়।মারাদোনাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রথমবার ফুটবল নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন এমন মানুষও রয়েছেন অজস্র।তিনি যেমন খেলেছেন তেমনি খেলতেও শিখিয়েছেন।৮৬ এর পূর্বে আমাদের মত দরিদ্র দেশেও খেলাধুলা বিলাসিতা ছাড়া কিছুই ছিল না।কিন্তু  মারাদোনা পরর্বতী সময়ে ফুটবলের জোয়ার আসার মূল নায়ক কে ছিলেন তা কিন্তু মারাদোনা বা আর্জেন্টিনার সমর্থকের সংখ্যার হিসাব করেই অনুমান করা যায়।অন্যান্য দেশ বার বার কাপ জিতলেও ব্যর্থ আর্জেন্টিনার সমর্থন প্রকাশ করতে একটু ইতস্তত বোধ করে না ভক্তরা তা সকলের জানা।

মৃত্যুর কিছুদিন আগে নিজের ৬০ তম জন্মদিনে তিনি ঠাট্টা করে বলেছিলেন তার একটি আক্ষেপের কথা। তিনি সুযোগ পেলে ডান হাত দিয়ে আরও একটি গোল করতেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর গোলটি ছিল বাম হাত দিয়ে করা এজন্যই তিনি এমন আক্ষেপের বিষয়ে জানিয়েছিলেন।

ডিয়াগো আর্মান্দো মারাদোনাকে নিয়ে বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয় কখনোই।তিনি পৃথিবীতে এসেছেন,খেলেছেন, খেলা শিখিয়েছেন আবার চলেও গেলেন।কিভাবে হাজার মাইল দূরে থেকেও না দেখে বা স্পর্শ করে অজস্র মানুষের মনে স্থান পেতে হয় তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ "ডিয়াগো আর্মান্দো মারাদোনা।

Post a Comment

0 Comments

Ad Inside Post

Comments system